বর্তমান সমাজে আমাদের অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, যদি এক বেলা ভ্যাট না খেয়ে থাকি তবুও কোনো সমস্যা নেই কিন্তু কেউ যদি বলে এক বেলা ফোন ছাড়া থাকতে তখন কিন্তু আমরা পারবো না তার কারণ আমরা প্রচুর ভাবে এডিকটেড হয়ে গিয়েছি। আমাদের হাতে থাকা ফোনটি দিয়ে আমরা কত কিছুই না করে থাকি হোক সেটা ভালো কিংবা খারাপ। আপনি কি জানেন ? আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক সেন্সর। আমরা যদি এই সেন্সরগুলিকে নজরদারির জন্য ব্যবহার না করে, যদি সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করি, তাহলে কেমন হয়? এমনই কাজ করার চেষ্টা করছে Spyic-এর মতো সার্ভিসগুলি।
আপনি হয়তো জেনে খুশি হবেন যে, জেলব্রেকিং অথবা রুট ছাড়াই এই ফিচার ব্যবহার করতে দিচ্ছে Spyic। এর ফলে আপনার ফোনের ওয়ারান্টি একদিকে যেমন অটুট থাকবে, অন্যদিকে ফোনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। একবার রেজিস্ট্রেশনের পরে আপনার স্মার্টফোন এক মিটার অ্যাকিউরেসিতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও দেখে নেওয়া যাবে ফোনের কল লিস্ট।
কিভাবে কে কাকে ট্র্যাক করবে?
স্মার্টফোনের মাধ্যমে কাউকে ট্র্যাক করার মতো বিষয় সামনে এলে সবার আগে মনে পরে আইনি বাধা কথা কারণ এই লোকেশন ট্র্যাক করার বিষয়টা একমাত্র পুলিশ করতে পারে যেকোনো তথ্য উদ্ঘাটন করার জন্য। কিন্তু সেটা যে কেউ করতে পারে এই বিষয়টা আমরা অনেকেই জানিনা। যে কোনও স্মার্টফোনের মধ্যে থাকা সিম কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই সব সময় ট্র্যাক করা সম্ভব। যদিও, সিম কার্ডের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে কারও লোকেশন জানা সম্ভব নয়। তবে GPS ও পাবলিক WAN এর মাধ্যমে অনেক বেশি নিখুঁতভাবে লোকেশন জানা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ গুগল ম্যাপের লোকেশন শেয়ার করার উপায়
Spyic
Spyic এর মাধ্যমে শুধুমাত্র লোকেশন ট্র্যাকিং নয়, ফোনের কল লিস্ট, কনট্যাক্ট, মেসেজ, ব্রাউজিং হিস্ট্রি ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ দেখা যায়। তবে, অন্যের ফোনে এই অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের ফোনে করতে কোনও সমস্যা নেই। যদিও Android গ্রাহকরা Root অ্যাকসেস-সহ এই সার্ভিস ব্যবহার করেন তাহলে অনেক বেশি ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। যদিও, Root অ্যাকসেস এনাবল করলে আপনার ফোনের ওয়ারান্টি অবৈধ হয়ে যাবে।
Android ফোনে Spyic ইনস্টল করার জন্য চাই একটি APK ফাইল। আর ফোনে APK ফাইল ইনস্টল করার জন্য আপনাকে Unknown Sources এনাবল করতে হবে, তা নাহলে সম্ভব না। তবে, iOS গ্রাহকরা iCloud অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগ ইন করবেন। যদিও, এর সাহায্যে প্ল্যাটফর্মেই কোনও রকম নিশানা না রেখেই, এই অ্যাপ আন ইনস্টল করা যাবে।
Spyic ব্যবহারের সুবিধা
- রিয়েল টাইম আপডেট
- ব্যবহারকারী বান্ধব ইন্টারফেস
- ব্যাপক পর্যবেক্ষণ
- মাল্টি প্ল্যাটফর্ম সমর্থন
- স্টিলথ মোড অপারেশন।
Spyic ব্যবহারের অসুবিধা
- তথ্য গোপনীয়তা উদ্বেগ
- বেশ ব্যয়বহুল।
Spyic ব্যবহারের খরচ
বিনামূল্যে এই অ্যাপ ইনস্টল করলেও, সার্ভিস ব্যবহারের জন্য সাবস্ক্রিপশনে খরচ করতে হবে। Spyic-এর কোনো বিনামূল্যের সাবস্ক্রিপশন অথবা ফ্রি ট্রায়াল নেই। যদিও, লম্বা ভ্যালিডিটির সাবস্ক্রিপশনে খরচ কম হবে। এছাড়াও, মোট তিনটি ধাপের সাবস্ক্রিপশন কেনা যাবে। বেসিক প্ল্যানে মাসে ৪০ মার্কিন ডলার খরচ হবে।
Spyic একটি শক্তিশালী টুল যা Android ও iOS ডিভাইস ট্র্যাকিংয়ে কাজে লাগে। রুট অথবা জেলব্রেক ছাড়াই এমন অনেক ফিচার আপনার স্মার্টফোনে এই সার্ভিস নিয়ে আসবে যা অন্যথায় সম্ভব না।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং একটি শেয়ার করে দিবেন যাতে আপনার আশেপাশের মানুষগুলো এই সম্পর্কে জানতে পারে। ধন্যবাদ সবাইকে