আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে থাকে তাহলে আপনি পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তারা সেটা ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন আর যাদের নেই তারা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে অনলাইনে ই পাসপোর্ট জন্য আবেদন করতে পারবে।
পাসপোর্ট আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে অনলাইনে আবেদন নির্ভুলভাবে করা সত্ত্বেও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আপনার ই পাসপোর্টের আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকলে আবেদন গ্রহণ করেনা।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- প্রাপ্তবয়স্কদের ই পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের নিচে) পাসপোর্ট আবেদনের জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। যারা এখনো আইডি কার্ড হাতে পাননি তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবেন।
- সরকারি চাকরিজীবীদের ই পাসপোর্ট করতে GO/NOC প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টস গুলোর সাথে নাগরিকত্ব সনদ/চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট সেই সাথে পেশাজীবী প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
- হারানো কিংবা চুরি হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট ইস্যু আবেদন করতে আবেদনের সাথে পাসপোর্ট হারানো জিডি কপি দাখিল করতে হয়। আপনার পাসপোর্টে যে থানার অধীনে চুরি হয়েছে বা হারিয়ে গেছে সেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিখে তা সংরক্ষণ করুন।
- ই পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পাসপোর্ট ফি পেমেন্ট করা। পেমেন্ট মাধ্যমিক হিসেবে অফলাইন বাছাই করলে ব্যাংকের মাধ্যমে ই পাসপোর্টটি পরিশোধ করতে হবে। ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা হয়ে গেলে ব্যাংক থেকে পেমেন্ট স্লিপ দেওয়া হবে। এটি আবেদনের ডকুমেন্টের সাথে যুক্ত করুন।
ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন কপি
- আবেদন সারসংক্ষেপ
- জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান রশিদ
- নাগরিক সনদ/চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
- পেশা প্রমাণের ডকুমেন্ট
ই পাসপোর্ট করতে যে সব কাগজপত্র লাগে
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ই পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বিশ বছরের নিচে যাদের এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি তারা আবেদনের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের জন্য এক্সট্রা ডকুমেন্ট হিসেবে GO অথবা NOC পেপার দাখিল করতে হয়।
ই পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স এবং পেশার উপর ভিত্তি করে আবেদনের সাথে জমাকৃত কাগজপত্রের ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন শিশুদের পাসপোর্ট করতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়, তার থেকে প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিকের ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কিছু ডকুমেন্টের ভিন্নতা দেখা যায়। তেমনিভাবে সাধারণ জনগণ এবং সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রেও পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে।
শিশুদের ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
শিশুদের পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হয়, তার সাথে শিশুর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা পাসপোর্ট আবেদনের সাথে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
শিশুদের পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজপত্র হয় –
- অনলাইন করা জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা-মাতার আইডি কার্ড/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
- পাসপোর্ট আবেদন সারাংশ
- আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
- 3R সাইজের ল্যাব প্রিন্ট ছবি , Gray Background হতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদন করতে সাধারণ নাগরিকদের থেকে একটি অতিরিক্ত নথি প্রয়োজন হয়, সেটি হল NOC (No Objection Certificate) বা GO (Government Order) পত্র। এছাড়াও, বাকি সকল নথিপত্র একজন সাধারণ নাগরিকের প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মতোই প্রযোজ্য।
এনওসি (NOC): সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী ব্যক্তিগত কাজে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট আবেদন করলে তাঁকে তাঁর বিভাগ, অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র সনদ (No Objection Certificate) সংগ্রহ করতে হয়।
জিও (GO): জিও হলো গভর্নমেন্ট অর্ডার বা সরকারি আদেশ। সরকারি/রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সরকারি আদেশ বা গভর্নমেন্ট অর্ডার পাসপোর্ট করার সময় দাখিল করতে হয়।
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
যাদের বয়স ১৮ কিংবা তার বেশি তাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র বা নাগরিক সনদ প্রয়োজন হয়।
- আইডি কার্ডের ফটো কপি
- ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি
- আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান / ব্যাংক ড্রাফ
- পেশা ছাত্র-ছাত্রী হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
- নাগরিক সনদ
- প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন
প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যারা ইমারজেন্সি পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন, অর্থাৎ চিকিৎসার কারণে কিংবা জরুরী কাজে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন, তাদেরকে আগে থেকেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আবেদন করতে হবে।
Pingback: ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম - Techguccho
Pingback: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক - Techguccho